ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর জন্য মানবিক আবেদন
আমি রফিকুল আনোয়ার রাসেল। আমার বাড়ি চট্টগ্রামে। বাবা ছোট বেলায় মারা গেছেন। মা এর কাছেই বড হয়েছি। প্রাইভেট ফারমে চাকুরী করতাম। পাশাপাশি সিনেমা নিয়ে লিখালিখি আর ছোট খাটো ভিডিও ডকুমেন্ট্রি বানাতাম। সব কিছু মোটামুটি সাজানোই ছিলো। ক্যান্সার যেদিন থেকে আমার শরীরকে গ্রাস করলো সেদিন হতেই চেনা পৃথিবী অচেনা হতে শুরু করলো। সেদিন সকালে উঠতে যাবো তক্ষুনি আচমকা মাথাটা দুলে উঠলো। শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত উঠা নামা করতে লাগলো। পড়ে গেলাম একদম..মাটিতে।
এরপর যখন চোখ খুললাম নিজেকে হাসপাতালের বিছানায় আবিষ্কার করলাম। তারপর প্রায় দুদিন যাবৎ এই টেষ্ট ঐ টেষ্ট। মনে সংশয় জাগলো খুব খারাপ কিছু হয়েছে কি-না! তৃতীয় দিন জানতে পারলাম শরীরে ক্যানসার বাসা বেঁধেছে। শোনার পরেই আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। দুমড়ে মুচড়ে গেল সকল স্বপ্ন। উল্টে গেল জীবনের রথ। কোলাহল জীবন থেকে চলে গেলাম নিভৃতবাসে। শুরু হলো জীবন বাঁচার যুদ্ধ। এ যেন অন্য এক জীবনের ছবি। এমন পরিস্থিতির জন্য কখনোই প্রস্তুত ছিলাম না।
এমন কঠিন অসুস্থতা আমার পুরো পরিবারটাকে কেমন যেন এক অদ্ভুত অস্থিরতায় ফেলে দিয়েছে। ডাক্তার, হাসপাতাল, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, রক্ত, ওষুধপত্র সবমিলিয়ে এক এলোমেলো ছোটাছুটির মধ্য দিয়ে গেলাম আমি আর আমার পরিবার। শ্রদ্ধেয় ডাক্তার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আমাকে বাঁচিয়ে রাখার। মানসিক, শারীরিক, আর্থিক, পারিবারিক, সামাজিক এক্কেবারে সবরকম যুদ্ধ করতে হয় এমন অসুখে।
এই যুদ্ধে ইতঃমধ্যে অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে। চাকরীটা যাও ছিল সেটাও গেল মাস ছয়েক আগে। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব যে যা পেরেছে দুহাতে খরচ করে গেছে। এক সাইকেল কেমোথেরাপি দেয়ার পর নিজেকে কিছুটা ভালো বোধ করলাম। নিভৃতবাস থেকে আস্তে আস্তে বের হতে লাগলাম। সবার সাথে মুগ্ধতা নিয়ে সময় কাটাতে লাগলাম।
কিন্তু অতিসম্প্রতি আবার হোঁচট খেলাম। শরীর খারাপ হতে লাগলো। আগের চেয়েও তীব্র খারাপ লাগার অনুভূতি। মাথারযন্ত্রনা বাড়তে লাগলো। ক্যানসার পুরো শরীরে ছড়াতে শুরু করলো। আবার সেই ডাক্তার, হাসপাতাল, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, রক্ত, ওষুধপত্র!! ইতোমধ্যে আমার আমার প্লাটিলেট, হোয়াইট ব্লড সেল কমে গেছে। খুব ভয় লাগা শুরু হয়েছে।
আপনারা জানেন ক্যান্সার রোগের চিকিৎসার জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন। অনেক সামার্থবান মানুষরাও এক সময়ে এসে থেমে যায় কিংবা হিমশিম খেয়ে যায়। এতোদিন আমার পরিবারের মানুষ ও বন্ধু-বান্ধবরা সব খরচ বহন করেছে। চিকিৎসা এতোটাই ব্যয়বহুল যার জন্য এখন আর সামলে উঠতে পারছে না। ডাক্তার আবার কেমথেরাপি শুরু করেতে বলেছে। যদি আমার শরীর কিছুটা ভালোর দিকে রেস্পন্স করে সে আশায়। তাই আপনাদের কাছে আবেদন আপনাদের সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সম্ভব সহায়তার জন্য।
ডাক্তার আশ্বস্ত করেছেন উন্নত চিকিৎসা পেলে আমি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবো। চিকিৎসার জন্য আরো প্রায় ২৫ লাখ টাকা প্রয়োজন, যা বর্তমানে আমার বা আমার পরিবারের জন্য বহন করা এ মুহুর্তে অসম্ভব।
তাই সকলের কাছে আমি বাঁচার জন্য মানবিক আবেদন করছি। জীবনে এই প্রথম বাচার জন্য সাহায্য প্রার্থী হলাম। আমি বাঁচতে চাই, আমার মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে চাই। জীবনকে রীল ফিতেতে আটকাতে চাই আপনাদের সকলের সহযোগিতা মাধ্যমে।
আমার মোবাইল নাম্বার +880 1819-376656 দিলাম।
If you need further information, please contact:
Ehsan Nazim : [email protected]
Your donation is tax-deductible in the USA. Please use your PayPal-generated receipt for tax purposes.
Project created on 9/27/2022