মরণঘাতী কোলন ক্যান্সার-এ আক্রান্ত কিশোর ওয়ালিদ বাঁচতে চায়
=========================

মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে মাত্র ১৫ বছরের কিশোর ওয়ালিদ হোসেন! সপ্তম শ্রেণীর মনোযোগী ছাত্র ওয়ালিদ অ্যাডভান্স স্টেজ কোলন ক্যান্সার-এ ভুগছে । দিনমজুর মোঃ জয়নাল হোসেনের ছোট ছেলে ওয়ালিদ, তার বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার একটি অজপাড়া গাঁ যাদবপুর গ্রামে। ওয়ালিদ নিয়মিত স্কুলে যেত, পড়াশোনা করতো। সে স্কুল থেকে এসে যতটুকু সময় পেতো তার বাবার কৃষি কাজে সহযোগিতা করতো।

স্কুল, পড়াশুনা, কৃষি কাজ - এভাবেই চলছিলো ওয়ালিদের জীবন। অন্য দিন গুলোর মতো একদিন সে স্কুলে গিয়েছিল তার বন্ধুদের সাথে। প্রতিদিনের মত স্কুলে বন্ধুদের সাথে খেলাধুলাকরছিল - হঠাৎ করে ওয়ালিদের ডান সাইডে পেটের মধ্যে ব্যথা অনুভূত হয় এবং ওই সাথে বমি হতে থাকে। প্রথম পর্যায়ে গ্রাম্য ডাক্তার দেখায় তার গরিব বাবা-মা। এভাবে কয়েকদিন চলতে থাকে কিন্তু তাতে কোন পরিবর্তন হয় না। পরবর্তীতে ওয়ালিদকে তার বাবা-মা মহেশপুর, ঝিনাইদহ ও যশোরে বিভিন্ন ডাক্তার দেখায় ও অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। পরে জানতে পারে তার টিউমার হয়েছে। ডাক্তার বলে টিউমারটি দ্রুত অপারেশন করতে হবে। অপারেশনে অনেক টাকা প্রয়োজন বলে দরিদ্র দিনমজুর পিতার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। তাই ওয়ালিদেরবাবা গ্রামের সবার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে। এভাবে কিছু সহযোগিতা নিয়ে ওয়ালিদের টিউমারটি অপারেশন করে ফেলে দেয়া সম্ভব হয় অগাস্ট মাসের মাঝামাঝি। কিছুদিন যাওয়ার পর আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারে তার ক্ষতস্থান অ্যাডভান্স স্টেজ ক্যান্সারে রূপনিয়েছে। এখন সে মরণঘাতী রোগের সাথে অবিরাম লড়াই করে চলছে। দরিদ্র দিনমজুর বাবা ছেলের চিকিৎসা করতে করতে আরো নিঃস্ব হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় ছেলের চিকিৎসা করার মত কোন সামর্থ্য নাই।

ওয়ালিদের মা-বাবা অংকুর ফাউন্ডেশন-এর কাছে চিকিৎসা সহায়তা চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার অ্যাডভান্স স্টেজ ক্যান্সার এর কথা বিবেচনা করে ২৮শে অগাস্ট ঢাকাস্থ “বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি হাসপাতাল এন্ড ওয়েলফেয়ার হোম” এর ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ “ডা. মোহাম্মদ মাসুমুল হক” এর কাছে ওয়ালিদের সকল রিপোর্ট পাঠালে তিনি অনতিবিলম্বে ওয়ালিদের কেমোথেরাপি শুরু করতে হবে জানান ! পরেরদিন ঢাকায় কেমোথেরাপি নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সহ পাঠানো হয়! ! তিনদিন হসপিটালে অবসেরভেশনে রাখার পর প্রথম রাউন্ড কেমোথেরাপি নিতে পেরেছে ওয়ালিদ! অত্যন্ত এগ্রেসিভ এই ক্যান্সার এর জন্য খুব এগ্রেসিভ ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন !

ওয়ালিদের প্রয়োজন হবে ৮ সাইকেল কেমোথেরাপি, তারপর রেডিওথেরাপির প্রয়োজন হতে পারে ! সেপ্টেম্বর ১ তারিখে প্রথম সাইকেল কেমোথেরাপি সফলতার সাথে নিতে পেরেছে ওয়ালিদ, আলহামদুলিল্লাহ !

ওয়ালিদের পাশে দাঁড়াতে চায় অঙ্কুর ফাউন্ডেশন। ওয়ালিদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় তিন থেকে চার লক্ষ টাকা।

Your donation is tax deductible in the USA. Please use your PayPal generated receipt for tax purposes.

For any question, please contact:
[email protected]
[email protected]
[email protected]

Project created on 09/07/2021

Pay Now