জনাব জহির উদ্দিন , নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার লক্ষিদিয়া গ্রামের ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন দিন মজুর। উনার চার মেয়ে এবং স্ত্রী সহ দারিদ্রতার মধ্যেই সংসার চলছিল।উনার পিতা এবং ভাইয়েরা ও দিন মজুর এবং দরিদ্র পরিবারের অন্তর্ভুক্ত । কিন্তু ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে হঠাৎ করে উনার পায়ুপথে ব্লাড যাওয়া শুরু হয়। হাতিয়া উপজেলায় চিকিৎসা নেয়ার চেষ্টা করা হয় এবং লোকাল প্যারামেডিক্স ডাক্তারের পরামর্শে কিছু দিন চলতে থাকে । উনার অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায়, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ডাক্তার দেখানো হয় এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ক্যান্সার সনাক্ত হয় । চিকিৎসা খরচের ব্যাপারটা মাথায় রেখে, পরবর্তীতে চট্টগ্রাম সার্জিকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় রাখা হয়, এবং সেখানে প্রথম ধাপে ৭ দিন ভর্তি ছিলেন। টেস্ট, মেডিসিন, হাসপাতালে থাকা সহ মোট ৪২০০০ টাকা খরচ হয়। এর পর অর্থাভাবে বাড়িতে (হাতিয়া) ফিরিয়ে নেওয়া হয় ।
এক দিকে টাকা নেই, অন্য দিকে চিকিৎসার খরচ চালানো! সামান্য জমিটুকু বন্ধক দিয়ে ৫০,০০০ টাকা নিয়ে ঢাকায় যাওয়া হয়, এবং মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করা হয়। ভর্তির আগেই নিকটস্থ পপুলার ডায়াগনস্টিকে MRI করা হয় এবং ১০ হাজার টাকা খরচ হয় কিন্তু পর্যাপ্ত সিট না থাকায় মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে ভর্তি সম্ভব হয়নি। এই দিকে হোটেলে থাকা, খাওয়ার খরচ বহনেই হিমসিম খেতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় রোগীকে আবার চট্টগ্রাম সার্জিকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে ২দিন রাখা হয়, এবং ১২,৬২৬ টাকা বিল পরিশোধ করা হয়। পরবর্তীতে অর্থের কথা ভেবে আবারও বাড়িতে (Hatiya) ফিরে আসা হয়। এইবার সর্বশেষ চেষ্টা হিসাবে আবার ঢাকায় আনা হয় এবং সোহরাওয়ার্দি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এক সপ্তাহের মত ছিলেন। একটা কেমোথেরাপি (ইঞ্জেকশান) দেওয়া হয় যার খরচ খরচ ছিল ১০,৮৪৭ টাকা। কিন্তু টেস্ট , খাবার , যাতায়াত এবং অন্যান্য খরচ সহ ৩০ হাজার টাকা লেগেছিল, । এই সময় আর খরচ বহনের সামর্থ্য না থাকায় আবার বাড়িতে ফিরে যান। ডাক্তারের পরামর্শ হচ্ছে নূন্যতম ৪ টি কেমোথেরাপি দেওয়া এবং অবস্থা অনুসারে পরবর্তী চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া।
এই চিকিৎসা বাবদ প্রায় ৪ লাখ টাকা লাগবে। আমরা কি হতদরিদ্র জহির উদ্দিনের চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারি। জহির উদ্দিন জাকাত যোগ্য । তাই আপনার জাকাতের কিছু অংশ থাকলে দিতে পারেন।